শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ২০১৭-২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ইংরেজি অংশটি ফাঁস হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এই ভর্তি পরীক্ষা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে কয়েকজনের ই-মেইলে আজকের ভর্তি পরীক্ষার ইংরেজি অংশের ২৪টি প্রশ্ন পাঠানো হয়। আজ পরীক্ষা শুরুর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে কয়েকজনের মোবাইলে ওই সব প্রশ্নের উত্তরের একটি লিখিত কপি খুদে বার্তা হিসেবে পাঠানো হয়। রাতে পাওয়া প্রশ্নের কপি ও আজকের খুদে বার্তার কপি প্রথম আলোর কাছে আছে।


বিষয়টি নিয়ে রাতেই কয়েকজন প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আজ পরীক্ষা শেষে গতকালের ওই প্রশ্নগুলোর সঙ্গে আজকের প্রশ্নপত্রের অবিকল মিল পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আর প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির কারণে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

সিআইডি এক খুদে বার্তায় জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে কিছু পরীক্ষার্থী জালিয়াতি করেছে। এ ঘটনায় সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ (অর্গানাইজড ক্রাইম) তদন্ত দলের সদস্যরা এই জালিয়াতি চক্রের কয়েকজন মূল হোতা ও পরীক্ষার্থীকে আটক করে। বিকেলে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৬১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকসহ প্রায় সব বিভাগের যোগ্য শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন এই ইউনিটের পরীক্ষা তাদের জন্য শেষ সুযোগ।

এ বছর ঘ ইউনিটে ১ হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ হাজার ১৪৭টি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য ৪১০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৫৩টি আসন রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় সব বিভাগে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাড়া প্রায় সব বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন। আর কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য যে ৫৩টি আসন রয়েছে, সেগুলো ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৯টি বিভাগ এবং গণিত ও পরিসংখ্যানে ভর্তি হওয়ার জন্য।

গত বছর ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৭০ জন এবং ২০১৫ সালে ৬২ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ধারায় একটি বড় পরিবর্তন আসে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষে অনেকেরই বিজ্ঞানের কোনো বিষয় কিংবা প্রকৌশল বা মেডিকেলে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু সেসব বিষয়ে ভর্তির সুযোগ না হলে তাঁদের ঘ ইউনিটের মাধ্যমে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করতে হয়। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়ে থাকে।

ঘ ইউনিটে ১২০ নম্বরের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হয়। যাঁরা মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা পড়েননি, তাঁদের জন্য বাংলার পরিবর্তে প্রশ্নপত্রে উচ্চতর ইংরেজি অংশ থাকে। আর সাধারণ জ্ঞানের দুটি অংশে থাকে-বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি। আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে অনেকের ভবিষ্যৎ।

ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ক ইউনিট, কলা অনুষদের অধীন খ ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীন গ ইউনিট ও চারুকলা অনুষদের অধীন চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ক ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ছিলেন ৫০ জন পরীক্ষার্থী। প্রতি আসনের বিপরীতে খ ইউনিটে ১৩, গ ইউনিটে ২৩ জন করে প্রার্থী ছিলেন।


সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় চ ইউনিটের পরীক্ষায়। এটি দুই ধাপে নেওয়া হয়। আসনসংখ্যা ১৩৫টি। প্রথম ধাপে সাধারণ জ্ঞান অংশের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৪৭৮ জন অংশ নেন। এর মধ্যে বাছাই করা ১ হাজার ৫৫২ জন অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেন।

এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা হয়।

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

মেডিকেলে ভর্তি ও ডেন্টালে আবেদন শুরু আজ

চলতি বছর (২০১৭-১৮) প্রথম বর্ষে সরকারি ৩১ মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর)। রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে। অন্যদিকে একই দিন দেশের সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


গত ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি ৩১ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মোট ৩ হাজার ৩১৮ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হন। মোট আসনের মধ্যে সাধারণ তিন হাজার ২২১টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৭টি এবং পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুসারে আগামী ২৮ অক্টোবরের (শনিবার) মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কমিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষাও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ।

তিনি জানান, অধিদফতরের নির্দেশনা অনুসারে ভর্তি কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি নিচ্ছেন।

এদিকে, আজ (১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা থেকে ডেন্টাল কলেজে ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৮ অক্টোবর রাত ১২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

সরকারি ১টি ডেন্টাল কলেজ ও ৭টি ডেন্টাল ইউনিটের মধ্যে সাধারণ আসনে ৫১৭টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০টি ও উপজাতি কোটায় ৫টিসহ মোট ৫৩২টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২টিসহ মোট ৯৭টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১টিসহ ৬০টি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১টিসহ ৫৯টি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১টিসহ ৫৯টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১টিসহ ৫৬টি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১টি ও ১টি উপজাতি কোটাসহ ৫২টি, সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১টি ও ১টি উপজাতি কোটাসহ ৫২টি, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১টি ও ১টি উপজাতি কোটাসহ ৫২টি ও রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১টি ও ১টি উপজাতি কোটাসহ ৫২টি আসন রয়েছে।

ঢাবির ক ও চ ইউনিটের ফল কাল

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ও চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় প্রকাশিত হবে।


মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে (কক্ষ নং-২১৪) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

যেভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ভর্তিতে মাইগ্রেশন করবেন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সে ভর্তির পর অনেকেরই বিষয় পছন্দ হয় না। পাড়া প্রতিবেশী বা কোন বড় ভাইয়ের কথা শুনে কোন বিষয়ে ভর্তি হয়ে গেলেন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর মনে হল এ বিষয়ে একেবারেই আপনি আগ্রহী নন। তাহলেতো বিষয় পরিবর্তন (মাইগ্রেশন) করতে হয়। কিন্তু কীভাবে করবেন? জেনে নিন বিষয় পরিবর্তনের পদ্ধতি।
 


১. প্রথম অথবা দ্বিতীয় মেধা তালিকা থেকে সুযোগ পেলে মাইগ্রেশন করা যাবে। রিলিজ স্লিপে সুযোগ প্রাপ্তরা মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে না।

২. মাইগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কলেজে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে এবং মেধা স্কোরের ভিত্তিতে তার বিষয় পছন্দক্রমের ঊর্ধ্বক্রমে বিষয় পরিবর্তন করা যাবে। যেমন কেউ যদি মূল আবেদনের সময় পছন্দক্রম- ১. ইংরেজি, ২. অর্থনীতি, ৩. বাংলা, ৪. ইতিহাস, ৫. সমাজবিজ্ঞান। এখন আবেদনকারী যদি ২ থেকে ৫ নাম্বার সিরিয়ালের মধ্যে কোন বিষয় পায় তাহলে সে পছন্দক্রমে যত নম্বর বিষয়ে সুযোগ পেয়েছে তার আগের বিষয়গুলোতে মাইগ্রেশনের আবেদন করতে পারবে। কিন্তু পছন্দক্রমের এক নাম্বার বিষয় ইংরেজি পায় তাহলে সে প্রার্থী আর মাইগ্রেশনের আবেদন করতে পারবে না।

৩. এক্ষেত্রে মাইগ্রেশনে প্রার্থীর বিষয় পরিবর্তন হলে পূর্বের বিষয়ের ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং মাইগ্রেশন করা বিষয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী চাইলে পূর্ববর্তী বিষয়ে ফিরে যেতে পারবে না। তবে মাইগ্রেশনে যদি বিষয় পরিবর্তন না হয় তাহলে প্রার্থীর পূর্বের বিষয়ে ভর্তি বহাল থাকবে।

৪. মাইগ্রেশন পদ্ধতি খুবই সহজ একটি কাজ। প্রথমে নির্ধারিত বিষয়ে ভর্তি হওয়া থাকতে হবে। অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণের সময় ‘Do you want to change your assigned subject based on your given preference list? YES or NO’ এরকম একটি অপশন থাকবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে নো অপশনে ক্লিক না করে ইয়েস অপশনে ক্লিক করতে হবে।

যেভাবে পাবেন মাইগ্রেশনের ফলাফল

১ম মেধা তালিকা থেকে মাইগ্রেশনের আবেদনকারীদের ফলাফল ২য় মেধা তালিকার ফলাফলের সাথে দেওয়া হবে। ২য় মেধা তালিকা থেকে মাইগ্রেশনের আবেদনকারীদের ফলাফল রিলিজ স্লিপের আবেদনের আবেদনের আগে কোটার ফলাফলের সাথে দেওয়া হবে।

মাইগ্রেশন করে কারও বিষয় পরিবর্তন হলে তাকে নতুন করে আর ভর্তি ফি দিতে হবে না।